সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

লোকমান কারাগারে, শামীমের সাত দেহরক্ষী আবার রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

চার বোতল মদ রাখার মামলায় তিন দফায় ছয় দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ‘ডিরেক্টর ইনচার্জ’ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তৃতীয় দফায় পাঁচ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করেন মহানগর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। তিনি আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আসামি রিমান্ডে  চার বোতল বিদেশি মদ হেফাজতে রাখা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই হচ্ছে। এ ছাড়া আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচালিত মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ক্যাসিনো পরিচালনা সংক্রান্ত কিছু তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই-বাছাই হচ্ছে। আসামি জামিন পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য তাকে কারাগারে রাখা প্রয়োজন।’ অন্যদিকে আসামি পক্ষের কৌঁসুলি মকবুল হোসেন ফকির ও ঈসমাইল জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী জামিন আবেদন নাকচ করে লোকমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, যুবলীগ নেতা হিসেবে আলোচিত গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমের সাত দেহরক্ষীকে আরেক মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে ১ অক্টোবর মুদ্রা পাচারের মামলায় তাদের চার দিনের রিমান্ড দিয়েছিল আদালত। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করা হয় এবং রাজধানীর গুলশান থানায় করা অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১-এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।

 সাত দেহরক্ষী হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ মামলার প্রধান আসামি জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে আর কে কে কাজ করে এবং তাদের কী কী অস্ত্র আছে এসব রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আসামিদের রিমান্ড প্রয়োজন।

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় ২ কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করা হয়। তখন শামীম ও তার এই সাত দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র‌্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু জি কে শামীমকে আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর