টাঙ্গাইলে জাতীয় পার্টির রাজনীতি অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। নেতা-কর্মীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য নেই। জেলা ও উপজেলার অনেক দাপুটে নেতা নিষ্ক্রিয়। উপজেলা কমিটিগুলোর অবস্থা আরও নাজুক। জাতীয় পার্টির কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঘটা করে জাতীয় পার্টিতে আগমন ঘটে পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মনিরের। নির্বাচনের সময় এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ছাড়েনি। বহু নাটকীয়তার পর এ আসনটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে পরাজয়ের পর টাঙ্গাইলে পীরজাদা মনিরকে খুব একটা দেখা যায়নি। টাঙ্গাইলে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ছাড়া জেলায় অন্য কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। জেলায় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে কোনো প্রকার দলীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।