বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে মারধর করে হল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আবরার হত্যায় গ্রেফতার বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে গোপন কথোপকথনে বিষয়টি ফাঁস হয়েছে। ছাত্রলীগের এই নেতারা মেসেঞ্জারে গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে আগে থেকেই কথা বলতেন।
গত শনিবার দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবীন গ্রুপে লেখেন, আবরারকে মেরে বের করে দিতে হবে। সে শিবির করে। মনিরুজ্জামান নামে একজন মেহেদীর কথায় সাড়া দেয়। পরে মেহেদী মনিরুজ্জামানকে বলে, আবরারের রুমমেট মিজানের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য। এ জন্য মেহেদী তাকে দুই দিন সময় দেওয়ার কথা বলে। পরে রবিবার রাতে আবরারকে ধরে আনা হয়।
রাত দেড়টার দিকেও মেসেঞ্জার গ্রুপে আবরারকে ধরে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়। কেউ একজন আবরারকে ধরে আনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। তখন বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ (গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে) বলে, আবরার মরে যাচ্ছে। মাইর বেশি হয়ে গেছে। এরপরই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মেধাবী আবরার। আবারের নিথর দেহ পড়ে ছিল সিঁড়ির কাছে। হলের চিকিৎসকই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।