আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা বান্দরবানের পাহাড় এবং সুন্দরবনের গহিন জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়ে টার্গেট করেছিল রাজধানী ঢাকাকে। ছক অনুযায়ী হামলার উদ্দেশে সংগঠনটির কয়েক শীর্ষনেতা একাধিকবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে। তারপর প্রশিক্ষিত একটি গ্রুপ ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থান নিয়েছিল। তারা অপেক্ষা করছিল সময় ও সুযোগের। কিন্তু তার আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্যকে পাকড়াও করতে সমর্থ হয়েছে। জানা গেছে, পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এ অভিযান পরিচালনা করে। এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম গতকাল বলেন, রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশে আনসার আল ইসলামের চার জঙ্গি যাত্রাবাড়ীতে একত্রিত হয়। তারা পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশে ঢাকায় এসেছিল। সিটিটিসির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শাহীন ওরফে ওমর, সাইফুল ইসলাম, হানিফুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও আল মামুন। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতিসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল ইসলামের আদর্শ অনুসারে কথিত জিহাদি গ্রুপ গঠন করে শারীরিক ও জিহাদি প্রশিক্ষণের উদ্দেশে বাড়ি থেকে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলার সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজল এলাকায় গমন করে এবং সেখানে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তীতে তারা সেখান থেকে বান্দরবানের আলীকদম এলাকার পাহাড়ে প্রায় একমাস শারীরিক, চাপাতি পরিচালনা ও অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও টার্গেট বাস্তবায়নের উদ্দেশে ঢাকায় এসে ঘটনাস্থলে মিলিত হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করত। বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হতো চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে। মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি নিয়মিত মামলা মামলা হয়েছে।
