রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ঝোপঝাড় আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ঝোপঝাড় নিয়মিত পরিষ্কার না করায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ বেশিরভাগ ওয়ার্ডের আশপাশ এখন অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় আছে। হাসপাতালের কর্মরত ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী স্বজদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে ঝোপঝাড় থাকলেও তা পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। তবে মাঝে মধ্যে পরিষ্কার হয় নামেমাত্র। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডগুলোর আশপাশে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। বহির্বিভাগের শিশু বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় জঙ্গলে গ্রিলের দুই পাশ ঘিরে আছে। বহির্বিভাগের গাইনি, অনকোলজি, নাক-কান-গলা, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিংসহ বহির্বিভাগ ও অনেক ওয়ার্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। মাঝে পরিচালকের রুমের সামনে পেছনে পরিষ্কার থাকলেও বাকি জায়গাগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এমন অবস্থায় ক্ষোভ জানিয়েছে নাম না প্রকাশে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক-কর্মকর্তা ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালে যে পরিমাণে পরিচ্ছন্ন কর্মী দরকার তার তুলনায় আছে অনেক কম। ফলে নিয়মিত পরিষ্কারের কাজ করা যাচ্ছে না। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অফিস সূত্রে জানা যায়, গোটা হাসপাতালের পরিষ্কারের জন্য কর্মী আছে ১২০ জন। এর মাঝে রয়েছে আয়া, নিরাপত্তা কর্মী, ওয়ার্ড বয়, ট্রলিম্যান, অফিস সহকারী। মাত্র চারজন ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে থাকে। আর সিটি কপোরেশনে থেকে দুজনকে দেওয়া হয়। তবে সব ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে কর্মী প্রয়োজন ১৮ থেকে ২০ জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নিয়মিত হাসপাতালে থাকি। এমন ঝোপঝাড় দেখে আমাদেরও অনেক খারাপ লাগে। কিছুদিন আগেও যেমনভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল ওই সময়ও তেমনভাবে পরিষ্কার হয়নি ঝোপঝাড়। এর আগে সিটি মেয়র এসে এমন পরিবেশ দেখে হাসপাতাল নিয়মিত পরিষ্কার করতে বলেছেন।’ রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘সিটি কপোরেশন থেকে দুজন কর্মী ও হাসপাতাল থেকে কিছু কর্মী দিয়ে চলছে ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজ। তবে এবার দরপত্রের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন কর্মী নেওয়া হচ্ছে। কর্মী নিয়োগ হলে আশা করা যাচ্ছে, আগের চেয়ে পরিষ্কারের কাজ অনেক ভালো হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর