রাজশাহীতে সাপের উপদ্রব বেড়েছে। হাসপাতালের হিসাব অনুযায়ী, তিন মাসে দুই শতাধিক মানুষ সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩০ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, সাপে দংশন করা যে দুই শতাধিক মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের সবাই নওগাঁ ও নাটোর জেলাসহ রাজশাহীর দুর্গাপুর, বাগমারা, তানোর, গোদাগাড়ী থানার। অন্য সময়ের চেয়ে গত আষাঢ় থেকে আশ্বিন মাসে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন ও মারা গেছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির পানি বাড়ায় নদনদী ও খালে-বিলে সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। দিনে কম বের হলেও রাতে সাপ বের হয়। এ সময় বাসাবাড়ি রাস্তা-ঘাট আর বিশেষ করে খালবিলে মাছ ধরার সময় সাপের দংশনে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন ৯০ শতাংশ নির্বিষ আর ১০ শতাংশ বিষাক্ত সাপের দংশনের রোগী। বেশিরভাগ রোগী মারা যাচ্ছে সময় নষ্ট করে হাসপাতালে আসায়। এ সময় চিকিৎসকদের কিছু করার থাকছে না। আর নির্বিষ সাপে দংশনদের উপজেলাতেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিষাক্ত সাপের এন্টিভেনম ওষুধ না থাকায় হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, কয়েকদিন আগেই থানার দায়িত্বরত চিকিৎসকদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। জেলার সব উপজেলাতে সাপে দংশন রোগীদের বিষয়ে বলা আছে, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে তাদেরকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য।
