বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রূপান্তরিত মানুষের গল্প

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

রূপান্তরিত মানুষের গল্প

তৃতীয় লিঙ্গ তথা হিজড়া সম্প্রদায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্রই অবহেলিত। রাষ্ট্রের নাগরিক হয়েও রাষ্ট্র তাদের বিষয়ে উদাসীন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার পাশাপাশি নানা বৈচিত্র্যে ভরা এদের জীবন-সংগ্রাম। তৃতীয় লিঙ্গের এ মানুষদের নিয়ে ‘হিজড়া শব্দকোষ’ ও  ‘রূপান্তরিত মানুষের গল্প’ শিরোনামের দুটি বই প্রকাশ হয়েছে বাংলাদেশস্থ সুইডেন দূতাবাস ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের আর্থিক সহযোগিতায়। এর মধ্যে ‘হিজড়া শব্দকোষ’, বইটি সম্পাদনা করেছেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও ‘রূপান্তরিত মানুষের গল্প’ বইটি লিখেছেন লাজিনা মুনা।

ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ইউএনডিপি, বাংলাদেশ। প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি শামসুজ্জামান খান, ইউএনডিপির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জি ও বন্ধু সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ।

গঙ্গা-যমুনায় চার নাটক : চলমান ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের পঞ্চম দিন গতকাল চার মিলনায়তনে চারটি নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি দুই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় নাচ, গান, আবৃত্তি ও পথনাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। এর মধ্যে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে থিয়েটারের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আরশীনগরের ‘রহু চ ালের হাড়’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় বাংলা নাট্যদলের নাটক ‘মেঘ’। অন্যদিকে একই সময়ে মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় থিয়েটার ফ্যাক্টরি প্রযোজিত নাটক ‘আষাঢ়ষ্য প্রথম দিবসে’। শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ মঞ্চ ও মহিলা সমিতির মঞ্চসহ একযোগে ছয়মঞ্চে চলছে ১০ দিনের এ উৎসব। এবারের উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের ১২১টি নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাড়ে তিন হাজার শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। সন্ধ্যা ৭টায় নাটক মঞ্চায়নের আগে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত উৎসব প্রাঙ্গণে পরিবেশিত হচ্ছে নাচ, গান, আবৃত্তি ও পথনাটকসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। ২০ অক্টোবর শেষ হবে ১০ দিনের এ নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব।

শেখ হাসিনা-বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি’ প্রদর্শনীতে আলোচনা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের আলোকচিত্র নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালার ১ ও ৬ নম্বর গ্যালারিতে চলছে ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি’ শিরোনামের মাসব্যাপী প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে গতকাল বিকালে একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশকে উল্টোপথে পরিচালিত করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরে পেয়েছি। আজ বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন। আমরা তার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠন করতে চাই।

অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা ছিলেন অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও মার্জিত একজন শিক্ষার্থী। বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা আমাদের ভয়ঙ্কর কালো অধ্যায় থেকে মুক্তি দিয়েছেন।’

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ছবি কথা বলে। একটি ছবি ১০ হাজার শব্দের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। প্রদর্শনীতে ছবিগুলো দেখলে আমরা বুঝতে পারি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও অগ্রযাত্রা। শিক্ষাকে সবার দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষাব্যবস্থাসহ প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর