ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হওয়া অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ, সৌরশক্তি, পানি, সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি, লাইটিং ও রিয়েল এস্টেট শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর শেষ দিন আজ। গতকাল ছুটির দিনে মেলাপ্রাঙ্গণে ছিল উপচে পড়া ভিড়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নাম নিবন্ধন করে মেলায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। কেউ এসেছেন নিজঘর সাজাতে দরকারি উপকরণ খুঁজতে, কেউ আসেন নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনার সন্ধানে। আজ শেষ দিনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত।
সেমস্ গ্লোবাল আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এই ‘বিল্ড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো’য় ১৬টির বেশি দেশের ২৬৭টি কোম্পানি অবকাঠামো উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী ধারণা, সরঞ্জামাদি, প্রযুক্তি এবং পরিষেবা নিয়ে হাজির হয়েছে। চমৎকার সব ডিজাইনের গৃহসামগ্রী বিশেষ করে ইনটেরিয়র, এক্সটেরিয়র পণ্য নিয়ে অংশ নিয়েছে বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলো। হাজারো দর্শনার্থীর পদচারণে মুখরিত আইসিসিবির তিনটি সুবিশাল হল। মেলায় স্থাপত্য, নির্মাণশিল্প, ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি, স্বল্প বাজেটে বাড়ি তৈরির নকশা ও কৌশল, ক্ষুদ্র ও বৃহৎ নির্মাণকাজে ব্যবহার করা যায় এমন কংক্রিট মেশিনারিজ, অভিজাত জীবনযাপনের জন্য অত্যাধুনিক লাইট, সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তি, এলইডি-সংশ্লিষ্ট পণ্যের পাশাপাশি রয়েছে কাঠ ও কাঠসংশ্লিষ্ট শিল্পের যন্ত্রপাতি ও পণ্য। ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক তৈরির ভারী যন্ত্র এনেছে আর্টিসান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর সাজ্জাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সারা বিশ্ব থেকে ইটের ব্যবহার দ্রুত উঠে যাচ্ছে। এর জায়গা নিচ্ছে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লক। বাংলাদেশেও ইটভাটা বন্ধ হচ্ছে। আমরা আমেরিকা থেকে কংক্রিট ব্লক তৈরির মেশিন আমদানি করছি। একটির দাম সাড়ে ৩ কোটি, অন্যটির ২ কোটি টাকা। বড় মেশিনটি দিয়ে ঘণ্টায় ধরনভেদে ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ ব্লক তৈরি করা যায়। এটা এখন একটা ভালো বিনিয়োগ হতে পারে।’ ঘরের ভিতরে গাছ দিয়ে সবুজ দেয়াল তৈরির প্রযুক্তি এনেছে উইজ ইউপিভিসি উইন ডোর লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম এ মান্নান বলেন, ‘নগরজীবনে গাছের কদর ক্রমেই বাড়ছে। মানুষের মধ্যে সবুজের প্রতি ভালোবাসা বাড়ছে। মানুষ বাড়ির ছাদে বাগান করছে। আমরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বাড়ির যে কোনো জায়গায় সেচ ব্যবস্থাপনাসহ গাছের দেয়াল তৈরি করে দিই। এটা বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াবে, আবার পরিবেশবান্ধবও।’