শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

কঠিন গোপনীয়তায় চলছে জামায়াতের আমির নির্বাচন

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

কঠিন গোপনীয়তায় চলছে জামায়াতের আমির নির্বাচন

কঠিন গোপনীয়তায় শুরু হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচন প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ১০ নভেম্বর। গত দুই সপ্তাহে সারা দেশে দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার প্রায় আড়াই শ সদস্য গোপন ভোটে শফিকুর রহমান, মুজিবুর রহমান ও মিয়া গোলাম পরওয়ার এই তিন সদস্যের আমির প্যানেল নির্বাচন করেন। শফিকুর রহমান বর্তমানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল, আর মুজিবুর রহমান ও গোলাম পরওয়ার নায়েবে আমির পদে আছেন। বর্তমান আমির মকবুল আহমাদ প্যানেলে নেই। সারা দেশে জামায়াতের শপথধারী সদস্যদের (রুকন) ভোট নেওয়া হবে। তবে কেউ  চাইলে প্যানেলের তিনজনের বাইরেও যে কাউকে ভোট দিতে পারেন। এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হবেন জামায়াতের নতুন আমির। এদিকে কে হচ্ছেন জামায়াতের নতুন আমির এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। 

জানতে চাইলে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, তিন বছর পর পর দলের আমির নির্বাচন হয়। এবারও যথা সময়ে তাই হবে। অক্টোবর থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ, ফল ঘোষণা, নতুন আমিরের শপথগ্রহণসহ সার্বিক কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। আমিরের কার্যকাল শুরু হবে সামনের জানুয়ারি থেকে। সূত্র জানায়, আমির নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন’ হিসেবে কাজ করছেন ৪ সদস্যের একটি টিম। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবু তাহের মাছুমের নেতৃত্বে টিমের বাকিরা হলেন জোনাল ইনচার্জ আবদুর রব, অফিস সহকারী আবদুস সাত্তার ও বায়তুল মাল সম্পাদক শাহাবুদ্দীন। আমির নির্বাচনের ক্ষেত্রে জামায়াতে সিনিয়রিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতীতেও পদবির সিনিয়রিটি হিসেবেই আমির নির্বাচন করা হয়েছে। বর্তমানে দলের ৫ জন নায়েবে আমির আছেন। তারা হলেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা আবদুস সুবহান (জেলে আছেন), মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (সাজাপ্রাপ্ত), মিয়া গোলাম পরওয়ার, আ ন ম শামসুল ইসলাম। সূত্রের দাবি, আমির হিসেবে আলোচনায় আছেন বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। জামায়াতের মজলিসে শুরার একজন সদস্য মনে করেন, নায়েবে আমিরদের মধ্য থেকেই আমির নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, আমির নির্বাচনের আগে প্যানেল নির্বাচন হবে। এরপর হবে আমির নির্বাচন। আর এটা আমাদের অত্যন্ত গোপন প্রক্রিয়া। রুকনরা ভোট দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। জানা যায়, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দলের নির্বাহী পরিষদে অবসরের চিঠি দিয়েছেন মকবুল আহমাদ। পরিষদে তা গৃহীতও হয়েছে। মকবুল আহমাদ ২০১০ সালের ২৯ জুন থেকে ২০১৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত আমির এবং ২০১৭ সাল থেকে নির্বাচিত আমিরের দায়িত্বে আছেন। মকবুল আহমাদ জামায়াতের তৃতীয় নির্বাচিত আমির। এর আগে গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী দলটির নির্বাচিত আমির ছিলেন।

সর্বশেষ খবর