সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্কাইপি নির্দেশনায় বিএনপি

পিরোজপুরে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। নেতৃত্বের দুর্বলতা ছিল শুরু থেকে। বিএনপি গঠিত হওয়ার পর থেকে পিরোজপুর ১ আসন কখনো বিএনপি পায়নি। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন ব্যারিস্টার  সরোয়ার হোসেন। সংগঠনটির এ নেতা বলেন, শুরু থেকেই দক্ষ, যোগ্য ও সৎ নেতা পিরোজপুর বিএনপিতে ছিল না বলেই চলে। এ সব কারণে কোনো নির্বাচনে পিরোজপুর বিএনপি ভালো করতে পারেনি। সব মিলিয়ে পিরোজপুরের বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল বলে মনে করেন তিনি। আর ভালো নেতৃত্ব না আসা পর্যন্ত এ অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলেও মতামত তার।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করি। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিত সভা করেছি। এছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্কাইপিতে সুপার ফাইভের আলাপ হয়েছে। তিনি সাংগঠনিক দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, আমারা সেগুলো পালন করছি। ৭টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভা নিয়ে মোট ১১টি ইউনিট রয়েছে বিএনপির। দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামের কারণে কমিটি স্থবির আছে। এ কারণে সম্মেলনগুলো করতে পারিনি। বিভিন্ন মামলা হামলার কারণে সংগঠন শক্তিশালী না থাকলেও নেতা-কর্মী সমৃদ্ধ। আমাদের নতুন করে নির্দেশ আসছে নতুন কমিটি করার জন্য। কেন্দ্র থেকে জেলায় একটি অ্যাডহক কমিটি দেবে। তার নেতৃত্বে থানা জেলা কমিটি করা হবে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরে জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। গাজী নূরুজ্জামান বাবুলকে সভাপতি ও আলমগীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপি কমিটি ঢাকা থেকে ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত এ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের মধ্যে চলতে থাকে দলীয় কোন্দল। এ দুই পক্ষের বাইরে কমিটির সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্য কয়েক নেতার নেতৃত্বেও আলাদা বলয় সৃষ্টি হয়। দলের মধ্যে এ কোন্দলের প্রভাব পড়ে বিভিন্ন উপজেলা ও সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে। সময় মতো সম্মেলন হয়নি উপজেলাগুলোতে। কোনো উপজেলায় রয়েছে একাধিক কমিটিও। পিরোজপুর ১ বা সদর আসন থেকে গত ৩ মেয়াদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীকে জোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে ব্যারিষ্টার সরোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে জোটের কারণে প্রার্থী হন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী। এর আগে এ আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে এমপি হন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

সর্বশেষ খবর