সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

অনলাইনে জামায়াত অন্যরা নীরব

জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা কারাবন্দী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নির্বাচনী এলাকা ছিল পিরোজপুর। পিরোজপুর-১ আসন থেকে তিনি দুবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ কারণে পিরোজপুরে জামায়াতের সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী বলে মনে করা হতো। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে যাবার পরে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে জামায়াত। এরপর ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সময় শক্ত অবস্থানে রাজপথে থাকে এ দলের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু সে দফায় আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ধীরে ধীরে চুপসে যায় জামায়াত। প্রকাশ্যে রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ করে দেয় জামায়াত। শুরু করে গোপন সাংগঠনিক তৎপরতা। মসজিদ-মাদ্রাসাভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে তৈরি করতে থাকে নতুন কর্মী। এ দলের সমর্থকরা আস্তে আস্তে মিশে যায় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সঙ্গে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর সদর আসনে বিএনপি-জামায়াত জোট থেকে প্রার্থী হন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী।  নির্বাচনে শামীম সাঈদী পরাজিত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিমের কাছে।  তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাঠে তেমন তৎপরতা দেখাতে পারেনি জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে একপ্রকার গোপনেই চলছে জামায়াতের কার্যক্রম। এ সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ছাড়া পিরোজপুরে কমিউনিস্ট পার্টি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সামান্য হলেও কার্যক্রম রয়েছে। পিরোজপুরে কমিউনিস্ট পার্টির ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি রয়েছে। গত কয়েক বছর এ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের রাস্তায় দেখা গেছে তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফল করতে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পিরোজপুরের ৭ উপজেলা কমিটি রয়েছে।

সর্বশেষ খবর