সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি স্বামী-মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পরকীয়ার কারণে বন্দর থানার নিমতলায় স্বামী ও মেয়েকে খুন হতে হলো স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিকের হাতে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দামপাড়া পুলিশ লাইনসে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম।

ঘটনার বিবরণে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাশের বাসার মাঈন উদ্দিন  নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মায়ের অবৈধ সম্পর্ক দেখে ফেলে শিশুকন্যা ফাতেমা খাতুন (৪)। বাবা বাসায় এলে এ সম্পর্কের কথা বলে দেবে বললে ওই শিশুকে হত্যা করেন মা হাছিনা বেগম। পরে হাছিনা বেগম পরকীয়া প্রেমিক মাঈন উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী আবু তাহেরকেও হত্যা করেন। প্রসঙ্গত, শনিবার বন্দর থানাধীন নিমতলা এলাকায় স্থানীয় বুচুইক্যা কলোনির একটি বাসা থেকে বাবা-মেয়ের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা আমেনা বেগম বলেন, এ ঘটনার পর পালিয়ে থাকা পরকীয়া প্রেমিক মাঈন উদ্দিনকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে আবু তাহের কাজে বের হলে স্ত্রী হাছিনা অবৈধ সম্পর্কে জড়ান মাঈন উদ্দিনের সঙ্গে। এ ঘটনা শিশুকন্যা দেখে ফেললে মাঈন উদ্দিন ওই শিশুকে হাত-পা চেপে ধরেন, আর হাছিনা গলায় ছুরি বসিয়ে নিজ মেয়েকে হত্যা করেন। পরে আবু তাহের বাড়িতে এলে মাঈন উদ্দিন ও হাছিনা বেগম তাকে জাপটে ধরেন। গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে পেটে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে তাকেও হত্যা করেন হাছিনা ও মাঈন উদ্দিন। এ ঘটনায় নিহত আবু তাহেরের বড় ভাই মো. নুর আলম বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। আবু তাহের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন চরঘাটা গ্রামের মৃত মো. মোস্তফার ছেলে। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, এ মামলায় হাছিনা আক্তার ও পরকীয়া প্রেমিক মাইন উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রতিবেশীদের সূত্র ধরে পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে হাছিনাকে একটি লাল রঙের শাড়ি উপহার দেন মাঈন উদ্দিন। এ শাড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন ধরে আবু তাহেরের সঙ্গে হাছিনার ঝগড়া ও পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। গুদামশ্রমিক নেতা মাঈন উদ্দিন মাঝে মাঝেই হাছিনার ঘরে আসতেন।

সর্বশেষ খবর