সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সীতাকুন্ডে চিকিৎসক হত্যা এখনো রহস্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ডা. শাহ আলম হত্যাকান্ডের ঘটনায় আলোচনায় এসেছে সেই ‘সেফ লাইন পরিবহন’। মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি নিষিদ্ধ করার পর চার চাকার ফিটনেসবিহীন গাড়ি বৃদ্ধি পায়। তাদের একটি লাইনের নাম ‘সেফ লাইন’। অভিযোগ উঠেছে, অদক্ষ চালক ও হেলপারের কারণে দুর্ঘটনা ছাড়াও, সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী বা ডাকাতদের হাতে প্রাণহানির ঘটনা নিয়মিত ঘটে  সেফ লাইনে। তবে ঘটনার তিন দিন পার হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি।

নিহত ডা. শাহ আলমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় সীতাকুন্ডের  ছোট কুমিরা বাইপাস থেকে তার ভাগিনা মো. ইজাব  সেফ লাইনের একটি গাড়িতে তুলে দেন তাকে। কিন্তু শুক্রবার স্থানীয়দের মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদ পান। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সেফ লাইন সার্ভিসে প্রতিমাসে গড়ে অর্ধ শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন। ছিনতাই-দুর্ঘটনায় প্রাণহানির কারণে  সেফ লাইন ওই এলাকার মানুষের কাছে একটি আতঙ্কের নাম।

চট্টগ্রাম জেলা হিউম্যান হলার মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, রাত ৮টার পর আমাদের লাইন বন্ধ থাকে। আমাদের লাইন বন্ধ হয়ে গেলে অন্য লাইনের গাড়িও এই লাইনে যাত্রী পরিবহন করে। এটা তাদের কাজও হতে পারে। এদিকে সীতাকুন্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম  শেখ জানান, নিহত ডা. শাহ আলমের স্ত্রী অমরানা আজমিরি শিকদার বাদি হয়ে সীতাকুন্ড থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শিগগিরই হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে বলে আশা করি।

সর্বশেষ খবর