সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদক কারবারিরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেলপাড়া গ্রামের ছালে আহমদের  ছেলে মোহাম্মদ আজিজ (২৪) এবং হোয়াইক্যং কানজরপাড়ার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মো. রহিম উদ্দিন (৩৭)। গতকাল ভোররাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কের মহেশখালিয়া পাড়া নৌঘাটে ও হোয়াইক্যং কানজরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মোহাম্মদ আজিজকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় গুলিতে আহত হন এস আই কামরুজ্জামান, এ এস আই মিশকাত ও কনস্টেবল রুমেন দাস। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক মাদক কারবারি আজিজকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি, ৭ রাউন্ড কার্তুন ও ৩ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে হোয়াইক্যং কানজরপাড়া এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মধ্যম কানজরপাড়ার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে মো. রহিম উদ্দিন। টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান নাফনদ হয়ে হোয়াইক্যং উনছিপ্রাংয়ের মদিনার জোড়া এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে, এমন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি দল অবস্থান নেয়। এ সময় নদীর তীরে এক লোককে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরে একটি নৌকায় কয়েকজন আসে। বিজিবি সদস্যরা নৌকা থামানোর নির্দেশ দিলে তারা বিজিবির ওপর গুলি চালায়। বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রহিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩ রাউন্ড কার্তুজ ও ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ও দুটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর