মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

অন্যরকম প্রতিবাদ অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমের

প্রতিদিন ডেস্ক

অন্যরকম প্রতিবাদ অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমের

সংবাদমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলো অন্যরকম প্রতিবাদ করেছে। গতকাল দেশটির শীর্ষস্থানীয় সবকটি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠা ছিল কালো কালিতে ঢাকা। তার ওপর ডান পাশে লাল  রঙের একটি সিল মেরে দেওয়া হয়। যার মধ্যে সাদা হরফে লেখা ছিল ‘সিক্রেট’ বা ‘গোপনীয়’। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সীমিত করে সাম্প্রতিক এক আইনের প্রতিবাদে অভিনব এ প্রতিবাদের উদ্যোগ নেয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সাংবাদিকদের মতে, এ আইনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের টুঁটি চেপে ধরার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় ‘গোপনীয়তার সংস্কৃতি’ চালু করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের ইতিহাসে একই দিনে সব পত্রিকায় এমন প্রতিবাদ বিরল।

এ প্রতিবাদ শুধু পত্রিকার পাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, রেডিও-টেলিভিশন, অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোও এতে সমর্থন দিয়েছে। বাদ যায়নি অস্ট্রেলিয়ান ফিন্যান্সিয়াল রিভিউ, সরকারি অর্থে পরিচালিত ওয়েবসাইট অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এবিসি)-এর মতো সংবাদমাধ্যমগুলোও। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে তারাও এ সংক্রান্ত বার্তা প্রচার করেছে। তাদের সম্মিলিত এ প্রচারণার নাম দেওয়া হয় ‘রাইট টু নো কোয়ালিশন’ বা জানার অধিকার বিষয়ক জোট।

এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন নাইন এন্টারটেইনমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হাগ মার্কস। তিনি বলেন, সরকার জনগণের নামে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা সম্পর্কে জনগণের জানার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই এ পদক্ষেপ। খবরে বলা হয়, বাকস্বাধীনতার সাংবিধানিক সুরক্ষাকবচ না থাকায় অস্ট্রেলিয়ায় সাংবাদিকদের তথ্য বা প্রতিবেদনে প্রকাশে এমনিতেই নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যথাযথ সংবাদ প্রকাশ করেও রাষ্ট্রযন্ত্রের হয়রানির মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। বিশেষ করে সংবাদের সোর্স বা সূত্র নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। পড়তে হয় আইনি জটিলতার মুখে। ফলে বড় কোনো ইস্যুতেও নিজেদের প্রতিবেদনে অনেক তথ্য প্রকাশ করতে পারে না সংবাদমাধ্যমগুলো। অথচ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে ঠিকই তা প্রকাশিত হয়।

সর্বশেষ খবর