শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা
নুসরাত হত্যা

ফাঁসির ১৪ আসামি কনডেম সেলে

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ফাঁসির আসামিদের মধ্যে ১৪ জনের ঠাঁই হয়েছে জেলখানার ৮টি কনডেম সেলে এবং দুই মহিলা আসামিকে রাখা হয়েছে মহিলাদের সাধারণ ওয়ার্ডে।

গত বৃহস্পতিবার আদালত থেকে ফেরার পর পরই ১৪ জনকে কনডেম সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফেনী জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল কাদের জানিয়েছেন, আদালত থেকে আসার পর ১৪ জনকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা পপিকে ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। জেলা কারাগারগুলোতে কনডেম সেলের সিস্টেম নেই। তবে এখানে ১০ জনের জন্য সাধারণ সেল রয়েছে। যখনই কোনো ফাঁসির আসামি আসে তখন তাদেরকে সেলে রাখা হয় এবং সেগুলোকে কনডেম সেল হিসেবে নামকরণ করা হয়। তবে সাধারণ সেল এবং কনডেম সেলের মধ্যে কোনো প্রার্থক্য নেই। আগামী রবিবার রায়ের কপি পেলে আসামিদের কোথায় পাঠানো হবে- সেটি আইজি প্রিজনের কাছে আবেদন করা হবে। পরে তার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী উপযুক্ত কারাগারে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ফাঁসির আসামিদের জেলা কারাগারে রাখা হয় না, কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখতে হয়।

যথাসময়ে আপিল করা হবে : এদিকে এ মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু বলেছেন, আমরা আপিল করতে যাচ্ছি। যথানিয়মে যথাসময়ে আমরা আপিল করব।

নুসরাতের বাড়িতে শুভাকাক্সক্ষীদের ভিড় : রায় ঘোষণা করার পর নুসরাতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন নিকটাত্মীয় ও শুভাকাক্সক্ষীরা। বাড়ি পাহারায় রয়েছেন ১২জন পুলিশ। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে নুসরাতদের বাড়ির ডিশ লাইনের সংযোগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। ছয় ঘণ্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় বাড়িতে পুনরায় ডিশ সংযোগ লাগানো হয়। নুসরাতের পরিবারকে নামে-বেনামে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে প্রচার থাকলেও নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান জানান, ঘটনাটি সত্য নয়। কেউ তাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে না। কেউ হুমকি ধমকি দিয়ে থাকলে পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানানো হবে। নিরাপত্তার ব্যাপারেও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিকে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন কামনা করেন।

সর্বশেষ খবর