রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। এ কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারা অনুযায়ী আসামি পরীক্ষাসহ তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। এ পর্যন্ত মোট ১১৩ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবিরের জবানবন্দি জেরা শেষ হয়। গত ১৭ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরের জবানবন্দি শুরু হয় এবং ২১ অক্টোবর তার জবানবন্দি শেষ হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা শুরু করেন। গতকাল এই জেরা শেষ হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। গত বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামি ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

এ ছাড়া, বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ আসামি হলেন- তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ।