সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

যৌতুকের জন্য নববধূর হাত-পায়ের রগ কেটে নির্যাতন

রংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগাছায় বিয়ের ৩৬ দিনের মাথায় যৌতুকের দাবিতে নববধূকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে নিষ্ঠুর স্বামী ও তার স্বজনরা। এরপর দুই দিন ধরে বাড়িতে ওই নববধূকে আটকে রাখার পর গতকাল সকালে পীরগাছা থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পীরগাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে শাহজাদা মিয়ার সঙ্গে গত ২০ সেপ্টেম্বর পাশর্^বর্তী তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া সরদারপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। এ সময় ফজলুল হক নগদ ৮৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার মেয়ে জামাইকে দেন। মেয়ের বিয়ের মেহেদির রং মুছতে না মুছতেই জামাতা শাহজাদা মিয়া আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং নববধূকে নির্যাতন করতে থাকে। এরই একপর্যায়ে গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া সৃষ্টি হলে স্বামী শাহজাদা মিয়া নববধূ শিউলি বেগমকে নির্মম নির্যাতন করেন এবং হত্যার উদ্দেশে তার স্বজনরা মিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় নববধূর হাত-পায়ের রগ কেটে দেন। এ সংবাদ পেয়ে মেয়ের মা রহিমা বেগম ও মামি পেয়ারা বেগম ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। পরে রবিবার সকালে নববধূর পিতা ফজলুল হক পীরগাছা থানা বিষয়টি পুলিশকে জানালে এসআই রিয়াজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই বাড়ি থেকে নববধূকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গতকাল হাসপাতালে মেয়ের পিতা ফজলুল হক বলেন, তার মেয়ের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। এখানকার চিকিৎসকরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য রেফার করেছেন।

সর্বশেষ খবর