শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

উদ্বোধন হলো দেশের বৃহত্তম ফুড কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উদ্বোধন হলো দেশের বৃহত্তম ফুড কোর্ট

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল ‘মেহেদী ফুড কোর্ট’ উদ্বোধন করেন শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কেক কেটে, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে রাজধানীতে উদ্বোধন করা হয়েছে দেশের বৃহত্তম ফুড কোর্টের। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার উত্তর পাশে ৩০০ ফুট পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে-সংলগ্ন ‘মেহেদী ফুড কোর্ট’ নামের সুবিশাল পরিসরের  এ ফুড কোর্টটি গতকাল উদ্বোধন করেন শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। রংধনু গ্রুপের তৈরি এ ফুড কোর্টে ২১৬টি খাবারের দোকান থাকবে যা পরে আরও বাড়ানো হতে পারে বলে গ্রুপটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম। উদ্বোধন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথাও এত বড় ফুড কোর্ট দেখিনি। আমাদের ভালো আইডিয়ার অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় বসুন্ধরা গ্রুপ নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে চমক দেখায়। বসুন্ধরা গ্রুপেরই একজন পরিচালক ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আজ এত বড় ও সুন্দর একটি ফুড কোর্ট উপহার দিয়েছেন। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স হলে ভেবেছিলাম এত বড় মার্কেট তেজগাঁও এলাকায় চলবে না। কিন্তু আজ সেটি ওই এলাকার প্রাণকেন্দ্র। বসুন্ধরার নতুন নতুন পণ্য আজ সারা দেশের ঘরে ঘরে। তাদের মিডিয়াগুলোও শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক; অল্প টাকায় মানুষের কাছে সব খবর পৌঁছে দিয়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমি এ ফুড কোর্টটির সফলতা কামনা করছি।’ সরকারের চলমান দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ রেখে যেতে চাইছেন। এজন্য শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, যারা অন্যের সম্পদ দখল করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এ অভিযান চলবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘১২ বছর আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৬০ ডলার, এখন ২ হাজার ডলার। অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে আমাদের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সেজন্যই এ অভিযান।’ শামীম ওসমান বলেন, ‘বসুন্ধরা এলাকায় একসময় ৫ লাখ টাকা দিয়ে যিনি একটি প্লট কিনেছেন, আজ তিনি কোটিপতি। রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আজ যে ফুড কোর্ট তৈরি করেছেন, এখানেও অনেক মানুষের ভাগ্য বদল হবে। অনেকেই দোকান করবেন।’ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে পাশে থাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তিনি বাবা-মা সবাইকে হারিয়ে আগামী প্রজন্মকে একটা সুন্দর দেশ দিয়ে যেতে চাইছেন। শেখ হাসিনা এখন আর শুধু আওয়ামী লীগের নন, তিনি একটা স্বপ্ন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘সরকারের অভিযানে ৫ ভাগ মানুষ অখুশি। আমাদের সবার উচিত প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো। দুঃখের বিষয়, কোনো বুদ্ধিজীবীকে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর এ কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাতে দেখলাম না।’

সর্বশেষ খবর