রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সৌদিতে ধরপাকড় অব্যাহত

তিন দিনে ফিরলেন ৩৩২ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

এ মাসের প্রথম দিনে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৭৫ বাংলাদেশি। গত শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনস এসভি ৮০৪ ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক জানিয়েছে, এ নিয়ে তিন দিনে মোট ৩৩২ বাংলাদেশিকে ফিরতে হলো। শুক্রবার ফেরত আসা নরসিংদীর সজীব হোসেন জানান, তিনি ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে আলফালা কোম্পানিতে গিয়েছিলেন মশা নিধন কর্মী হিসেবে কাজ করতে। কিন্তু গিয়ে কাজ পান একটি সাপ্লাই কোম্পানিতে। তবে এক বছরেও কোনো বেতন পাননি। উপায়ান্তর না দেখে বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে এখন শূন্য হাতে দেশে ফিরলেন। ফরিদপুরের মামুন মিয়া জানান, সাড়ে চার বছর তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা নবায়নের জন্য কফিলকে (নিয়োগকর্তা) টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু কফিল আকামা নবায়ন করেননি। অভিযানে গ্রেফতার হলে কফিল তার দায়িত্বও নেননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাসুম মিয়ার অভিযোগ, আট মাসের আকামার মেয়াদ থাকলেও রাস্তা থেকে ধরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পাঠানো হয়েছে তাকে। তিনি জানান, সৌদি আরবে নয় বছর বৈধ আকামা নিয়ে কাজ করতেন। কেন তাকে পাঠানো হলো জানেন না। মৌলভীবাজারের মো. জুয়েল জানান, মাত্র এক মাস আগে গিয়েছিলেন। কিন্তু ধরপাকড়ের অভিযানে তাকেও শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হলো।

একইভাবে ফেনীর মিজবাহ আড়াই মাস, গাইবান্ধার মাহবুব পাঁচ মাস, সাদিরুল সাত মাস, কুমিল্লার জুয়েল আট মাস আগে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। কিন্তু ধরপাকড়ে তাদের খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে। ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে ধরপাকড়ের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার যারা ফেরত এসেছেন তার মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন যারা কয়েক মাস আগে সেখানে গিয়েছিলেন। অনেকে জানিয়েছেন, তাদের যে কাজ দেওয়ার কথা ছিল তা পাননি। দীর্ঘদিন থাকা কয়েকজন বলেছেন, কেন তাদের পাঠানো হলো জানেন না। কয়েকজন বলেছেন, আকামা নবায়নের জন্য তারা টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু নিয়োগকর্তা নবায়ন করেননি। এখন পুলিশ ধরলেও তারা দায়িত্ব নিচ্ছেন না। এ ধরনের প্রতিটি ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহি জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর