শিরোনাম
রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছাত্র সংঘর্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বিকাল ৫টার মধ্যে ছাত্ররা হল ত্যাগ করেন। এ ছাড়া আজ সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আতঙ্কগ্রস্ত ছাত্রীদের অনেকেই বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই হল ত্যাগ করেছেন। জানা যায়, আন্তহল ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠে রেফারি ও তার সহকারীকে লাঞ্ছিত এবং ফজলুল হক হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে পাল্টাপাল্টি হামলায় ক্যাম্পাসে অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের পর বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এমএ রশীদ হল ও অমর একুশে হলের মধ্যে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করায় ফজলুল হক হলের এক ছাত্রকে মারধর করা হলে তারাও এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জি এম শহীদুল আলম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদার বলেন, শুক্রবার বিকালে কুয়েটের এমএ রশীদ হল ও ফজলুল হক হলের মধ্যে আন্তহল ফুটবল খেলার সময় মাঠে রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দুটি দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, খেলা গোলশূন্য ড্র হলে অমর একুশে হলের সমর্থকরা রেফারি শাহ আলমের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার সহকর্মী আকবার এগিয়ে এলে তার ওপরও হামলা চালায় অমর একুশে হলের সমর্থকরা। এ সময় ফজলুল হক হলের এক শিক্ষার্থী রেফারিকে মারধরের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করায় তাকেও মারধর করে অমর একুশে হলের সমর্থকরা। এ খবর ক্যাম্পাসের হলগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে অমর একুশে হল এবং ফজলুল হক হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। রাতে উত্তেজনা আরও বাড়লে কুয়েট প্রশাসন জরুরি সভা ডেকে মধ্যরাতেই ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে হঠাৎ করেই ক্যাম্পাস বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। কুয়েটের সাতটি হলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। এ ধরনের ঘোষণায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাদের।

সর্বশেষ খবর