মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বেঁচে গেলেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলারদের বহনকারী বিমান দুর্ঘটনার খবর নতুন নয়। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব শাপকোয়েন্সর ফুটবলারদের বহনকারী বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে ক্লাবটির বেশিরভাগ ফুটবলারই নিহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনা এখনো ফুটবল অনুরাগীদের মনে দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। তেমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনার কবল থেকে বেঁচে গেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররা। মাঝ আকাশে টেকনিক্যাল সমস্যায় আক্রান্ত হয় তাদের বহনকারী বিমানটি। এরপর জরুরি অবতরণের জন্য ফিরে আসে ঢাকায়। অবশ্য গতকালই নিরাপদে ওমান পৌঁছে জাতীয় দলের ফুটবলাররা। জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা তার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, ‘আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানি আর মানুষের দোয়ায় গত রাতে এক বড় রকমের বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। বিমানে শুধু আমরা জাতীয় দলের ফুটবলাররাই ছিলাম না, অনেক সাধারণ মানুষও ছিল। যাই হোক আমরা সবাই সুস্থ আছি এবং আজকে সকালে আবার ওমানের উদ্দেশে রওনা হচ্ছি। সবাই দোয়া করবেন যেন ভালো মতো পৌঁছাতে পারি।’ বিমান দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে অবশ্য তারা সুস্থ শরীরেই ওমানের মাসকটে পৌঁছেছেন। তবে ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার কথাই বর্ণনা করলেন রানা। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে ওমানগামী জাতীয় দলের ফুটবলাররা অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন। রবিবার রাতে বাংলাদেশের ফুটবলারদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-০০২১) হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার এক ঘণ্টা পর টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ফুটবলারদের বহনকারী বিমানটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ার পর মাঝ আকাশে হঠাৎ করেই এক আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে বিমানের ভিতরের সব বাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এয়ারকন্ডিশনারও কাজ করছিল না। এ সময় ফুটবলাররাসহ সাধারণ যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সবাই দোয়া-দরুদ পড়তে শুরু করেন। কেউ কেউ ভয়ে ছোটাছুটিও শুরু করেন। রাত দেড়টার দিকে বিমানটি ঢাকায় ফিরে আসে। জরুরি অবতরণের পর রাতে এয়ারপোর্টের পাশেই এক হোটেলে অবস্থান করে গতকাল সকালে জাতীয় দলের ফুটবলাররা ওমান যান। সেখানে পৌঁছার পর জাতীয় দলের গোলরক্ষক রানা ফেসবুকে জানান, সবাই সুস্থ অবস্থায় মাসকট পৌঁছেছেন। ১৪ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করছেন কোচ জেমি ডে।

সর্বশেষ খবর