বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঘর গোছানো নিয়ে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে জেলার নেতারা তৃণমূল সংগঠিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ অবস্থায় ইউনিয়ন পর্যায়ের কাউন্সিল অনেকটাই শেষের পথে। অল্প সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে পৌর, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন। এমনটাই মত আওয়ামী লীগ নেতাদের। ইতিমধ্যে জেলার দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধ অনেকাংশে কমে এসেছে। এক মঞ্চেই বসছেন দুই এমপি। গত এক দশক আওয়ামী লীগ এ অবস্থায় ছিল না। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের কিছুদিন পর চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগে বিভেদ দেখা দেয়। জেলার দুটি আসনের দুই এমপির নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আলাদা গ্রুপ। এ সময় দলের ত্যাগী নেতারা অনেকটাই বঞ্চিত হয়ে পড়েন। হাইব্রিড নেতারা চলে আসেন সামনের সারিতে। অনেকটা অভিমানেই পেছনের সারিতে চলে যান পরীক্ষিত অনেক নেতা-কর্মী। এ অবস্থায় দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি নিয়েও গোপনে অনেক নেতা-কর্মী অসন্তোষের কথা বলেন। দুই পক্ষেই বিভেদ বাড়ে। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে হঠাৎ করেই ঘুরে দাঁড়ায় জেলা আওয়ামী লীগ। দুই পক্ষের মতপার্থক্য অনেকটাই কমে যায়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমনকে কেন্দ্র করে এক মঞ্চে বসেন দুই এমপি। ফলে দুটি আসনেই বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের দূরত্ব কমলেও নির্বাচনের পর পরই এর অঙ্গসংগঠনে নতুন করে ফাটল দেখা দেয়। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের অনেকেই জেলা আওয়ামী লীগ থেকে দূরে সরে যান। এর প্রভাব পড়ে সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও উপজেলা নির্বাচনে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নামেন। এতে সাধারণ কর্মীরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন।

সর্বশেষ খবর