বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
অধ্যক্ষকে পানিতে নিক্ষেপ

মূল অভিযুক্তরা এখনো অধরা, আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে টেনে হিঁচড়ে পানিতে নিক্ষেপের ঘটনার মূল অভিযুক্তরা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ বলছে, তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এনিয়ে গতকাল শিক্ষকরা পুলিশকে তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। গতকাল পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরেছেন। তবে ক্লাসে ফেরার আগেও তারা ক্যাম্পাসে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার সাজিদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা পলিটেকনিকের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল সকালে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষকরাও মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। মিডটার্ম পরীক্ষায় ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার জন্য শনিবার দুপুরে নেতা-কর্মীরা অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে চাপ দেন। এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক হয়। এর জের ধরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অধ্যক্ষকে টেনে-হিঁচড়ে ক্যাম্পাসে একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনাটি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় নগরীর চন্দ্রিমা থানায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অধ্যক্ষ। ঘটনার পর শনি ও রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা মূল অভিযুক্তরা গতকাল দুপুর পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ঘটনা তদন্তে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রবিবার থেকেই তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। এদিকে, ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে ঘটনা তদন্ত করছে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ। ইতিমধ্যে পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। একই সঙ্গে পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর