ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে আজ। ১৮ নভেম্বর ক্ষণ গণনা শুরু হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। একই দিন উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে দুই সিটিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ডিসেম্বরের শুরুতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে এ দুই সিটির তফসিল দেওয়ার চিন্তা করছে কমিশন। এজন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চলছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬, ১৯, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তফসিলের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬ বা ১৯ জানুয়ারি ভোট হলে তফসিল হবে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ২৩ বা ২৬ জানুয়ারি ভোট হলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল। ৩০ জানুয়ারি ভোট হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার চিন্তা রয়েছে কমিশনের। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে।
জানুয়ারিতে একই দিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোট করা হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, ১৮ নভেম্বরের পর যে কোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে। চলতি ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে এ দুই সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, যেহেতু এখনো সময় আছে তাই চট্টগ্রামের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঢাকার দুই সিটিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোট গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানান তিনি। ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, ইতিমধ্যে দুই সিটির ভোট কেন্দ্রের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ভোটার তালিকাও। ইসি সচিবালয় দুই সিটির সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে। তারা বলেছেন, দুই সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এজন্য প্রায় ১৫ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় মেশিন কমিশনের রয়েছে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে আর চট্টগ্রাম সিটিতে প্রথম সভা হয় একই বছরের ৬ আগস্ট। সে হিসেবে আজ ১৪ নভেম্বর ঢাকা উত্তর, ১৮ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ এবং আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে। ঢাকা উত্তরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, দক্ষিণের ১৬ মে আর চট্টগ্রাম সিটির ৫ আগস্ট। তবে চট্টগ্রাম সিটির ভোট নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ৩৪৯ ও ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৫১৬টি। দক্ষিণ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ১২৪ ও ভোটকক্ষ ৫ হাজার ৯৯৮টি।
