শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফ-নরসিংদীতে নিহত ২

প্রতিদিন ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মিয়ানমারের এক রোহিঙ্গা নূর কবির নিহত হয়েছে। এদিকে, নরসিংদীর শিবপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার রাজ্জাক মিয়া (৩৯) নিহত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মিয়ানমারের এক  রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। বিজিবি বলছে, নিহত ব্যক্তি মাদক পাচারকারী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাফ নদীর লেদাছ্যুরি খালের  কেওড়া বাগানে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক  লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান এ তথ্য জানান।নিহত ব্যক্তির নাম নূর কবির (২৮)। তার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের সিকদারপাড়া এলাকায়। বাবার নাম  মোহাম্মদ মতলব। বিজিবির অধিনায়ক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিজিবির লেদা সীমান্ত  চৌকির একটি বিশেষ টহলদল নাফ নদীর লেদাছ্যুরি খালের পাশের  বেড়িবাঁধ এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় কেওড়া বাগানে ৩ থেকে ৪ জনকে মাটি খুঁড়তে দেখা যায়। তারা আচমকা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা বড়ি, অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পকেটে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। তা থেকে তার নাম-পরিচয় জানা যায়। পরে তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, গুলিবিদ্ধ ইয়াবা পাচারকারীকে রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নরসিংদী : নরসিংদীর শিবপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার রাজ্জাক মিয়া (৩৯) নিহত হয়েছে। বৃহম্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার তেলিয়া শ্মশান ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। রাজ্জাক শিবপুর উপজেলার মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নরসিংদী ও শিবপুরসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানুয়া গ্রামের বাড়ি থেকে রাজ্জাক মিয়াকে গ্রেফতার করে শিবপুর থানা পুলিশ। পরে রাতে তাকে নিয়ে সহযোগীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। রাজ্জাকের দেয়া তথ্যমতে রাত ১২টার দিকে তেলিয়া শালুরদিয়া শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় রাজ্জাক মিয়া দুই পক্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় এসআই মনির হোসেন, কনস্টেবল মশিউর রহমান ও আনিসুর রহমান পড়ে গিয়ে আহত হয়। আহতদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজ্জাক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। সকালে হাসপাতালে রাজ্জাকের স্বজনরা অভিযোগ করেন, পুলিশ রাজ্জাককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধের দাবি করছে। নিহতের স্ত্রী জ্যোস্না বেগম আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘পুলিশ ধরে নিয়ে আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। এখন আমি সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব।’ শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের ধারণা, ডাকাত রাজ্জাক অপর ডাকাতদের গুলিতে নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর