ছেলে জুলহাসকে (৪) শাসরুদ্ধ করে হত্যার পর পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে নিজেই আত্মচিৎকার করে এলাকাবাসীকে জানান পাঁচ সন্তানের জননী নাছিমা খাতুন। ঘটনাটি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর গ্রামের। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মতো শিশু সন্তানকে খাইয়ে শুয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে শিশু সন্তানকে শাসরুদ্ধ করে হত্যা করে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেন মা নাছিমা খাতুন। পরে নিজেই চিৎকার দিয়ে গ্রামবাসীকে জাগিয়ে তোলেন নিজের ছেলেকে হত্যা করেছেন বলে। এলাকাবাসী টের পেয়ে নাছিমা খাতুনকে আটক করে তার স্বামী ও ত্রিশাল থানা পুলিশকে খবর দেয়। মায়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির পাশের পুকুর থেকে জুলহাসের লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ সময় শিশুটির মাথা, গলা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে ত্রিশাল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় জুলহাসের পিতা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। শিশুটির পিতা আবুল কালাম বলেন, আমি ২৫ বছর আগে নাছিমাকে বিয়ে করি। আমাদের ঘরে এক মেয়ে ও চার ছেলে সন্তান রয়েছে। মেয়েকে বিয়ের দেওয়ার পর তিন সন্তানকে নিয়ে আমি বাজারের চায়ের দোকান করি। আমার স্ত্রী মাঝেমাঝেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যেত। ত্রিশাল থানা এসআই ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সোহরাব জানান, ওই মহিলা মাঝে মাঝেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যেত। নিজে শিশু সন্তানকে খুন করে সবাইকে খবর দেয়। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
