রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভোটের যত আয়োজন ইসিতে

গোলাম রাব্বানী

ভোটের যত আয়োজন ইসিতে

ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে। ইতিমধ্যে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আগামীকাল ১৮ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। ফলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে কাল থেকেই যে কোনো দিন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ঢাকার দুই সিটিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোট গ্রহণ করা হতে পারে। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে একই দিনে দুই সিটিতে  ভোট গ্রহণ হবে। নভেম্বরের ১৮ তারিখের পর যে কোনো দিন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসির সূত্র বলছে, গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। ১৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচন উপযোগী হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটিও। প্রথমত, কমিশন চিন্তা করছে ডিসেম্বরের শুরুতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে ঢাকার দুই সিটির তফসিল ঘোষণার। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চলছে তফসিল দেওয়ার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। তবে ভোটের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণে সরকারের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে কমিশন। সরকার জানুয়ারিতে ভোট না চাইলে মার্চ-এপ্রিলে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটিতে একই দিন ভোট করার দ্বিতীয় পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। 

ইসির সূত্রগুলো বলছে, ১৬, ১৯, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তফসিলের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬ বা ১৯ জানুয়ারি ভোট হলে তফসিল হবে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ২৩ বা ২৬ জানুয়ারি ভোট হলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল; ৩০ জানুয়ারি ভোট হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার চিন্তা রয়েছে কমিশনের। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে দুই সিটির ভোট কেন্দ্রের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ভোটার তালিকাও। আর দুই সিটিতে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুই সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এ জন্য প্রায় ১৫ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় মেশিন কমিশনের সংগ্রহে রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর