রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি

উপড়ে পড়েছে বিপুলসংখ্যক গাছ

প্রতিদিন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় উপড়ে গেছে অন্তত সাড়ে চার হাজার গাছ। এসব গাছই উপকূলকে বড় তা-ব থেকে রক্ষা করেছে। বাংলাদেশের বন অধিদফতরের বরাত দিয়ে গতকাল বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সুন্দরবনের সাড়ে চার হাজার গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে প্রথমে ভারতে, পরে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সুন্দরবনে আঘাত করার কারণেই ঝড়টির গতি কমে যায় এবং লোকালয়ের ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। ঝড়ের পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার কাজ শুরু করে বন বিভাগ। বন অধিদফতরের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, ঝড়ে ৪৫৮৯টি গাছ উপড়ে পড়েছে। সুন্দরবনের দুটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগে। তবে  কোনো বন্য প্রাণী মারা যাওয়ার তথ্য আমরা পাইনি।’ তিনি জানান, পশ্চিম অংশে ক্ষতিগ্রস্ত গাছের মধ্যে রয়েছে  গেওয়া, গড়ান, কেওড়া ইত্যাদি গাছ, যেগুলো নদী বা খালের পাড়ে হয়ে থাকে। আর পূর্ব অংশের ক্ষতিগ্রস্ত গাছের মধ্যে আছে রেইনট্রি, বাবলা, মেহগনি, অর্জুন ইত্যাদি গাছ। পশ্চিম অংশের মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা ও খুলনার বন, আর পূর্ব অংশের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট ও বরিশালের বন। কর্মকর্তারা বলছেন, আড় পাঙ্গাশিয়া ও শিবসা নদীর দুই পাড়ের গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বড় জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়নি বলে তারা মনে করছেন। এই সূত্র জানায়, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছের আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন ফাঁড়ি ও স্টেশনের জেটি, ওয়াচ টাওয়ারসহ অবকাঠামোর অনেক ক্ষতি হয়েছে। বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান বলেন, ‘অবকাঠামোগত ক্ষতি হওয়ায় আপাতত পর্যটকরা ভূমিতে নামতে পারছেন না। তবে অনেকেই জাহাজে বা লঞ্চে করে বনে ঘুরছেন। তবে কটকা বা কচিখালির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় তারা এখন যেতে পারছেন না। অবকাঠামো ঠিক করতে সময় লাগায় পর্যটন ব্যবস্থা আপাতত সীমিত আকারে থাকবে।’

সর্বশেষ খবর