মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুই সিটি ভোটে তফসিলের অপেক্ষা

গোলাম রাব্বানী

দুই সিটি ভোটে তফসিলের অপেক্ষা

নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। শুরু হয়েছে নির্বাচনী ক্ষণ গণনা। নির্বাচন কমিশনেও চলছে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি। অপেক্ষা শুধু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার। নির্বাচন কমিশন চাইলে যে কোনো দিন তফসিল ঘোষণা করতে পারবে ঢাকার দুই সিটি ভোটের। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, তফসিল ঘোষণা ও ভোটের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণে সরকারের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে কমিশন। যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোটগ্রহণ করা হতে পারে। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬, ১৯, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তফসিলের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬ বা ১৯ জানুয়ারি ভোট হলে তফসিল হবে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ২৩ বা ২৬ জানুয়ারি ভোট হলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল; ৩০ জানুয়ারি ভোট হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার চিন্তা রয়েছে কমিশনের। ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি এবং ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৫১৬টি। আর দক্ষিণ সিটিতে ভোটার রয়েছে ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ১২৪ এবং ভোটকক্ষ ৫ হাজার ৯৯৮টি। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দুই সিটির ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ভোটার তালিকাও। দুই সিটিতে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছেন,  দুই সিটিতে প্রায় ১৫ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। এর আগে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, ১৮ নভেম্বরের পর যে কোনো দিন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচন উপযোগী হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটিও। সরকার জানুয়ারিতে ভোট না চাইলে মার্চ-এপ্রিলে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটিতে একইদিন ভোট করার দ্বিতীয় পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়।

সর্বশেষ খবর