শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় শুরু বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় শুরু বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো

ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) চারটি হলজুড়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সপ্তম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৯।

গতকাল প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের সর্ববৃহৎ মেলাটির উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক। সহগামী আয়োজন হিসেবে একসঙ্গে শুরু হয়েছে ‘নবম এগ্রো বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৯’ এবং ‘ষষ্ঠ রাইস অ্যান্ড গ্রেইন টেক এক্সপো-২০১৯’ নামে আরও দুটি মেলা। মেলায় খাদ্য ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত ১৫টি দেশের দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি এ খাতের আধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারি তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীতে। বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) 

এবং  রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এ মেলার আয়োজন করেছে। আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রদর্শনী ছাড়াও কারিগরি সেশনে থাকবে এ খাতের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, লবণাক্ততা ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক কৃষিপণ্য চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়। বাজারে জোগান বেড়ে যাওয়ায় কৃষক অনেক সময় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। প্রক্রিয়াজাত খাতটির বিকাশ ঘটলে কৃষকও ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে। আবার এসব পণ্য বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। আলুর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এখনো অনেক চিপস আমদানি হয়। আমাদের চার মিলিয়ন টন আলু অতিরিক্ত আছে। এগুলো দিয়ে চিপস তৈরি করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যায়। খাতটির উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে, ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন  মেরিন সুহ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, বাপার সভাপতি ফখরুল ইসলাম মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক, মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ। আয়োজকরা জানান, জন্মলগ্ন থেকে বাপা দেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। খাতটিকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে এই মেলা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে বাপার ৩০০ সদস্য প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশ্বের ১৪৪টি দেশে রপ্তানি করছে। বিগত অর্থবছরে খাদ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাপার সদস্যরা ৩৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করাই বাপার লক্ষ্য।

সর্বশেষ খবর