শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জানুয়ারিতেই হবে ঢাকা সিটির ভোট

চট্টগ্রামের সিদ্ধান্ত ডিসেম্বরে, ভোটে থাকবে না ব্যালট পেপার, ইভিএমের প্রস্তুতি চলছে

গোলাম রাব্বানী

জানুয়ারিতেই হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। চট্টগ্রাম সিটির ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ডিসেম্বরে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে  ভোটগ্রহণ করা হবে। এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপার থাকবে না। ইভিএমের মাধ্যমে দুই সিটিতে  ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী মাসের শুরুতে বৈঠক করে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শুরু বা মাঝামাঝিতে এ নির্বাচনের তফসিল হতে পারে।

জানা গেছে, ১৬, ১৯, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি  ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি  নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে  রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তফসিলের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬ বা ১৯ জানুয়ারি ভোট হলে তফসিল হবে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ২৩ বা ২৬ জানুয়ারি ভোট হলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল; ৩০ জানুয়ারি ভোট হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার চিন্তা রয়েছে কমিশনের। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে।

নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দুই সিটির ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ভোটার তালিকাও। আর ইসি সচিবালয় দুই সিটিতে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং  মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছেন,  দুই সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এজন্য প্রায় ১৫ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। ইভিএমে  ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় মেশিন কমিশনের সংগ্রহে রয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিও। আগামী বছরের ৭  ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে। কমিশনের প্রথমত পরিকল্পনা ডিসেম্বরের শুরুতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে ঢাকার দুই সিটির তফসিল ঘোষণা করা। দ্বিতীয় পরিকল্পনা হচ্ছে- সরকার জানুয়ারিতে ভোট না চাইলে মার্চ-এপ্রিলে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটিতে একইদিন ভোট করা। এই দুই পরিকল্পনা ধরেই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চলছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। তবে ভোটের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণে সরকারের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে কমিশন।

সর্বশেষ খবর