শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি

রাজধানী সুপার মার্কেটে গত বুধবার রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে ২১টি দোকান। আগুনে আরও ১৩/১৪টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ব্যবসায়ী গতকাল আহাজারি করে কাটিয়েছেন। এদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি জানতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের কারও কারও দাবি, মার্কেটের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশের একটি দোকানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেই সময় ওয়েল্ডিং মেশিনের একটি ফুলকি গিয়ে পাশের ফোমের দোকানে পড়ে। তখন আগুন ধরে যায়। পরে অন্য দোকানগুলোতে সেটি দ্রুত  ছড়িয়ে পড়ে। তবে ভিন্ন ভিন্ন ধারণাও রয়েছে। আগুনের ঘটনাটি দুর্ঘটনা না নাশকতা এ নিয়ে কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলছেন, এ মার্কেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে র‌্যাব-৩ এর হাতে গ্রেফতার হন স্থানীয় ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মনজু। তার অনুসারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন ধরিয়ে দিতে পারেন। অন্য কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মাত্র ৪০ দিন আগে মার্কেটে আগুন নির্বাপণ মহড়া হয়। তখন বৈদ্যুতিক তারের ত্রুটিসহ যেসব দুর্বলতা ধরা পড়েছিল তা সংস্কার করেনি কর্তৃপক্ষ। গতকাল ওই মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীরা নিজ নিজ দোকান থেকে মালামাল সরানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আহাজারি করছেন। অনেকে দোকানের দিকে অপলক তাকিয়ে তাকিয়ে সময় পার করছেন। তারা বলছেন, সর্বনাশা আগুন তাদের সব কেড়ে নিয়েছে, করেছে নিঃস্ব।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট তিন ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সোয়া ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভাতে গিয়ে মমিন নামে এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। অধিকাংশ দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। বেশিরভাগ ছিল গোডাউন। এর মধ্যে গার্মেন্টস, ফোম, বেডশিট, কাপড় ও মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল। পুরো মার্কেটটি রাজধানী সুপার মার্কেট নামে পরিচিত হলেও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মূলত নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র বলছে, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোয় বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে। আগুনে প্রায় সবকিছুই পুড়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে তদন্ত কমিটি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোতলার ২১টি দোকান পুড়লেও আগুন নেভানোর সময় পানিতে দোতলা ও নিচতলার অনেক দোকানের মালপত্র নষ্ট হয়েছে। আগুনের তাপে আরও বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর