সিলেটের জকিগঞ্জে বিচারের নামে এক যুবককে বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেছেন কাজলসার ইউপি সদস্য আবদুস সালাম। এ নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সচেতন মহল নির্যাতনকারীর শাস্তি দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ^াস দিয়েছে পুলিশ। ভিডিওতে দেখা গেছে, জকিগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম একই ইউনিয়নের বড়বন্দ গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিনকে (৩৫) বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে হাত-পা বেঁধে পায়ের নিচে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার যুবক চিৎকার, কান্নাকাটি ও বাঁচার আকুতি করলেও পিটিয়েই যাচ্ছিলেন তিনি। ভিডিওটি পুলিশের হাতেও পৌঁছেছে। পুলিশ ভিডিওচিত্র দেখে আবদুস সালামকে আটক করেছে। এ ঘটনা ছাড়াও ইউপি সদস্য আবদুস সালামের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেমন ১২ নভেম্বর সিলেটের পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ করেছেন আটগ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাকিল আহমদ। তিনি উল্লেখ করেন, তার চাচাতো ভাই আবদুুল মান্নান বতুলকে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন আবদুস সালাম। পরে মুখে বিষ ঢেলে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আবদুন নাসের বলেন, ‘প্রায় তিন মাস আগে আবদুস সালাম এ ঘটনাটি ঘটান। নির্যাতিত ব্যক্তি গিয়াস উদ্দিনকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।’ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আবদুুল মান্নান বতুলকে হত্যা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল মান্নান বিষপান করেছেন। অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তাকে জকিগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা সিলেটে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এটিও আমরা খতিয়ে দেখছি।’
