রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নাটকীয়ভাবে ভোররাতে বিজেপি সরকার মহারাষ্ট্রে

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

অবশেষে ভারতের মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের অচলাস্থা কাটল। নানা নাটকীয়তা, ক্ষমতা ভাগাভাগির সমীকরণ, আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি আর জোট ভাঙা-গড়ার খেলার পর সবাইকে চমকে দিয়ে রাজ্যটিতে সরকার গড়ল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। গতকাল সকালে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবিশ দ্বিতীয় মেয়াদে আরব সাগর পাড়ের রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সরকারে তাদের শরিক এনসিপির অজিত পাওয়ার হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। অজিত এনসিপির শীর্ষ নেতা শারদ পাওয়ারের ভাতিজা। ভোটের ফল ঘোষণার এক মাস পর বিজেপি-এনসিপির এই ‘হঠাৎ জোট’ কংগ্রেস ও শিবসেনাকে ‘স্তম্ভিত করে দিয়েছে’ বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গেই ছিল শিবসেনা, কেন্দ্রের সরকারেও তাদের অংশীদারিত্ব ছিল। মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে সেই জোটে ফাটল ধরার পর তারা কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সঙ্গে সরকার গঠনে দরকষাকষি শুরু করে। তিন দলের আলোচনা শুক্রবার ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ পৌঁছেছে এবং শিগগিরই তারা মহারাষ্ট্রে একটি জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো ইঙ্গিতও দিয়েছিল। সকালেই দাবার সে ছক উল্টে গেল।

‘মহারাষ্ট্রের জনগণকে একটি স্থিতিশীল সরকার উপহার দিতে চেয়েছিল বিজেপি। শিবসেনা জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায়নি। গভর্নর আমাদের সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানান। সমর্থন দেওয়ায় এনসিপিকে ধন্যবাদ’, শপথ নিয়ে বলেছেন ফডনবিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় দেবেন্দ্র ফডনবিশ ও অজিত পাওয়ারকে অভিনন্দন। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, মহারাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে তারা একসঙ্গে অসাধারণ কাজ করবেন’, বলেছেন তিনি। অক্টোবরের ভোটে ২৮৮ আসনের ১০৫টিতে জিতে বিজেপি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কিন্তু জোটসঙ্গী ৫৬টি আসন জেতা শিবসেনার সঙ্গে নতুন সরকার নিয়ে মতের মিল না হওয়ায় প্রথম দফায় তারা সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। বিরোধী জোটের এনসিপি ও কংগ্রেস জিতেছিল যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪টি আসন। ফডনবিশ-অজিতের শপথ গ্রহণের ঘটনাকে ‘পেছন থেকে ছুরি মারা’ আখ্যা দিয়েছে শিবসেনা। শারদ পাওয়ার বলেছেন, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার বিষয়ে অজিত তাকে কিছুই জানাননি। ‘এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’, বলেন তিনি।

সর্বশেষ খবর