বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
বসল ১৭তম স্প্যান

আড়াই কিলোমিটার দৃশ্যমান পদ্মা সেতু

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

আড়াই কিলোমিটার দৃশ্যমান পদ্মা সেতু

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে বসল পদ্মা সেতুর ১৭তম স্প্যান (৪ডি)। গতকাল দুপুরে ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারে বসানো হয় স্প্যানটি। স্প্যানটি বসানোর ফলে দৃশ্যমান হলো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর ২ হাজার ৫৫০ মিটার। অর্থাৎ আড়াই কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। পদ্মা সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১৫০ মিটার দীর্ঘ স্প্যানটি চর এলাকায় অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত ছিল। সেখান থেকে ভাসমান ক্রেন দিয়ে তুলে ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারের ওপর এই স্প্যান বসানো হয়। ১৯ নভেম্বর ১৬তম স্প্যান ২৪ ও ২৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এর মাত্র সাত দিন পর গতকাল আবার পদ্মা সেতুর আরও একটি স্প্যান বসানো হলো। এর আগে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে স্প্যান বসানো হয়নি। পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবীর জানান, আগামী ৪ অথবা ৫ ডিসেম্বর বসার কথা রয়েছে ১৮তম স্প্যান। এটি বসবে ১৭ ও ১৮ নম্বর খুঁটিতে। জানা গেছে, মূল পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। আরও পাঁচটি স্প্যান পুরোপুরি প্রস্তুত। তিনটি স্প্যান রং করা হচ্ছে। আরও ৮টি স্প্যান মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত করার কাজ চলছে। বাকি নয়টি স্প্যান দ্রুতই চীন থেকে চলে আসবে। এগুলো মার্চ মাসের মধ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩৩টি সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেছে। বাকি ৯টি পিলারের ক্যাপিং (ওপরের অংশ) করা হচ্ছে। স্প্যানের মতো এসব পিলারের নির্মাণও সম্পন্ন হবে আগামী মার্চে। এখন থেকে প্রতি মাসে দুটি থেকে তিনটি স্প্যান বসানো হবে। সব মিলিয়ে আগামী জুন মাসের মধ্যে পুরো পদ্মা সেতু দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। প্রকৌশলীরা জানান, সব চ্যালেঞ্জ জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে মূল সেতুর কাজ। পিলারের পাশাপাশি, স্প্যান, রোডওয়ে ও রেলওয়ের কাজও এগিয়ে চলছে। পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

দোতলা কাঠামোর মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ খবর