বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
কাউন্সিলরদের আবেদন

ঢাকা সিটি ভোটে জটিলতা নেই

গোলাম রাব্বানী

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। সম্প্রসারিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নিজ এলাকায় ভোট না করার দাবি জানালেও তা কোনো জাটিলতা সৃষ্টি করবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে জানুয়ারিতে ভোট করার বিষয়ে ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে কমিশন। এরই মধ্যে সম্প্রসারিত ৩৬টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোট না করার জন্য কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ হয়নি এমন দাবি করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের পক্ষে এ চিঠি দেওয়া হয়। জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘জানুয়ারিতে ভোট করার পরিকল্পনা তো আমাদের রয়েছে। কাউন্সিলরদের আবেদনের বিষয়টি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেবে। তবে এ নিয়ে কোনো জটিলতা নেই নির্বাচনের। কখন ভোট হবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন; এজন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ গত ৩ নভেম্বর কমিশন সভা শেষে সচিব জানিয়েছিলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোট হতে পারে। নভেম্বরের ১৮ তারিখের পর যে কোনো দিন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। চলতি ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে এ দুই সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। জানা গেছে, ১৬, ১৯, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। তফসিলের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৬ বা ১৯ জানুয়ারি ভোট হলে তফসিল হবে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ২৩ বা ২৬ জানুয়ারি ভোট হলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল; ৩০ জানুয়ারি ভোট হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার চিন্তা রয়েছে কমিশনের। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশন ভোট নিয়ে পূর্ণপ্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোও। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও প্রার্থী চূড়ান্তকরণের কাজ এগিয়ে রাখছে। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টিও প্রার্থী বাছাই করছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করবে। জানা গেছে, মেয়র পদে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এখন অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। এদিকে নির্বাচন কমিশন জানুয়ারিতেই ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন করতে ভোট কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করছে। ভোট কেন্দ্রের তালিকাও প্রস্তুত রাখছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। ইসি পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে। নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ইসি সচিবালয় দুই সিটিতে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে। দুই সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এজন্য প্রায় ১৫ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর