বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দাকাণ্ডে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (ফমেক) পর্দা কেলেঙ্কারিতে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিশনের অনুসন্ধানে সম্ভাব্য আসামিদের দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, দুদকের মামলায় আসামি হতে যাচ্ছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দন্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গনপতি বিশ্বাস, গাইনি বিভাগের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মিনাক্ষী চাকমা, সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম, অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মুন্সী ফররুখ হোসাইন, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন। দুদক সূত্র জানিয়েছে, অপ্রয়োজনীভাবে ও নিয়ম লঙ্ঘন করে বাজার দরের চেয়ে বেশি মূল্যে পর্দা, আইসিইউ ভেন্টিলেশনসহ বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে। জানা গেছে, ফরিদপুর মেডিকেলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও মালামাল কেনাকাটার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে  দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। খবরে বলা হয়, হাসপাতালের আইসিইউর এক সেট পর্দার দাম পড়েছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা দামের একেকটি  স্টেথিস্কোপের খরচ পড়েছে ১ লাখ সাড়ে ১২ হাজার টাকা করে। ১০ হাজার টাকার ডিজিটাল ব্লাডপ্রেশার মাপার মেশিনের দাম পড়েছে ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অব্যবহৃত আইসিইউর জন্য অক্সিজেন জেনারেটিং প্ল্যান্টের দাম পড়েছে ৫  কোটি ২৭ লাখ টাকা। জাপান থেকে আনা হলেও যার খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে তদন্ত করতে দুদককে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। পরে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক।

সর্বশেষ খবর