বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নেতৃত্ব চান শেখ হাসিনা

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ

রফিকুল ইসলাম রনি

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নেতৃত্ব বাছাই করছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেওয়া নেতারাও এবার ভালো পদে স্থান পেতে পারেন। আগামী শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে দ্বিতীয় অধিবেশনে ঢাকার দুই মহানগর কমিটির নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হবে। চলতি মাসেই আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে। তাতে চলমান শুদ্ধি অভিযানের বড় প্রভাব দেখা গেছে। এবার ত্যাগী, পরীক্ষিত ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতারা পদ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আবার ঝুঁকিতে আছেন নানা কান্ডে  বিতর্কিতরা। নেতৃত্ব নির্বাচনে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিকে গুরুত্ব দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কোণঠাসা ও বঞ্চনার শিকার নেতারা মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের কাছে যোগ্যতা প্রমাণে ছুটছেন তারা। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন করছেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে। জানা গেছে, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফ সভাপতি এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন টানা ২৯ বছর। ফলে দীর্ঘ সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদে নতুন নেতৃত্ব দেখা যায়নি। কার্যনির্বাহী কমিটিতেও নতুন মুখের আগমন তেমন ঘটেনি। মহানগর ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ থেকে বিদায় নেওয়া নেতারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোথাও নাম লেখানোর সুযোগ পাননি। তরুণ ভোটারদের সঙ্গে মহানগর নেতাদের দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সম্মেলনে এই দূরত্ব কিছু কমিয়ে আনেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, সম্মেলনে এই দূরত্ব কমিয়ে আনতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নেতৃত্ব বাছাই করছেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে ও পদ ধরে রাখতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন নেতারা। সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বর্তমান সভাপতি আবুল হাসনাত, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, আওলাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী মো. নজিবুল্লা হিরু। এ ছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, মোর্শেদ কামাল, প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর