বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে স্পেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে অংশ নিতে স্পেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী রবিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। মাদ্রিদে ২ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ সম্মেলন। এতে অন্তত ২৫ দেশের সরকারপ্রধানরা যোগ দেবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে অংশ নেওয়া ছাড়াও স্পেনের রাষ্ট্রপতি ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক করারও কথা রয়েছে। সফর শেষে ৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে হুমকির সম্মুখীন বাংলাদেশ। এ কারণে সৃষ্ট ঝুঁকির ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে এ সংক্রান্ত বৈশ্বিক আলোচনা এবং দর কষাকষিতে আমরা অংশগ্রহণ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবেন সেগুলো হচ্ছে লস অ্যান্ড ড্যামেজ, জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থায়ন, ওয়ারশো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজমের ম্যান্ডেট আরও শক্তিশালী করা।

মুক্তিযুদ্ধের চার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গৃহীত চারটি প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এ প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন হোক।’ প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে ওই চারটি প্রকল্পের পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা প্রত্যক্ষকালে এ কথা বলেন। তিনি প্রকল্পগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রকল্প চারটি হচ্ছে- ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়), অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্প, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্যানোরমা নির্মাণ প্রকল্প।

এসব প্রকল্পের মধ্যে প্রথম প্রকল্পের জন্য ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজের শতকরা ৩০ শতাংশ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

স্বাধীনতাস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়) আওতায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার স্থানটিতে এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে দুটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।

জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের স্থানটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণদানরত ১৮ ফুট দীর্ঘ একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পে ‘বীরনিবাস’ শিরোনামে ১৪ হাজার এক তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এ ভবনগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে প্রদান করবেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বলানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও স্থাপত্য বিভাগের প্রধান স্থপতি এ এস এম আমিনুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর