রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেখে কর্মসূচি দেবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৫ ডিসেম্বর কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ দেখে আন্দোলন করা, না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। যদি ওই দিন জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত আসে তাহলে দলটি আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তবে কী ধরনের কর্মসূচি দেবে- এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গতকাল রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান। সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নির্বাচন কমিশনে নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিভক্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সচিব এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা লোক নিয়োগ দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন কাজ করছেন, যেটা সংবিধান পরিপন্থী। কারণ এখানে কমিশনের সবাই মিলে একক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা তারা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নির্বাচন অযোগ্য। এখন যেটা মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনেও দুর্নীতির তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ যে বিষয়গুলো সেখানে ঘটছে সেটা সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিই হচ্ছে বলে আমাদের জনগণের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে। আমরা মনে করি দুর্নীতি দমন কমিশনের অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতির খুঁজে বের করার জন্য কাজ করা প্রয়োজন। একাদশ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তাদের পদত্যাগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।

বিদেশে নারী কর্মীদের নির্যাতনে কমিশন গঠনের দাবি : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদেশে আমাদের শ্রমিকরা বিশেষ করে আমাদের নারী শ্রমিকরা কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, তাদের ওপর শারীরিক ও মাননিক নির্যাতন এবং অনেক সময়ে শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষে হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কমিশন গঠন করে সত্য উদ্ঘাটন করে কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়- সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ৭ দিনের অতিরিক্ত সময়ে অপেক্ষা করেছি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে কোনো রেসপনস পাইনি। সে কারণে আমাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা এখন তথ্য অধিকার আইনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ চুক্তিগুলো সম্পর্কে ধারণার জন্য চিঠি দেব। আগামী দু-একদিনের মধ্যে আমরা এ চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা করব।

সর্বশেষ খবর