বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলা একাডেমি ৬৫ বছরে

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বাংলা একাডেমি ৬৫ বছরে

গতকাল ছিল বাংলা একাডেমির ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাঙালির মনন ও সৃজনের প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। আলোচনা, স্মৃতিচারণ, সংবর্ধনা প্রদান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে সাজানো ছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনব্যাপী এই আয়োজন।

একাডেমি প্রাঙ্গণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা ঘটে। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন একাডেমির সভাপতি আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির পতাকা উত্তোলন করেন মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এরপর মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।

বিকাল ৪টায় একাডেমির রবীন্দ্রচত্বরে ‘বাংলা একাডেমি ও আমাদের সমাজ’ শীর্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা-২০১৯ প্রদান করেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত ভাষাসংগ্রামী রওশন আরা বাচ্চুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে প্রেরণা নিয়ে বাংলা একাডেমির পরিসর এখন সবদিক দিয়ে প্রশস্ত হয়েছে। প্রকাশনা একাডেমির একটা বড় কাজ। একাডেমি থেকে বহু ধরনের অভিধান প্রকাশিত হয়েছে এবং তার অধিকাংশই বিস্ময়করভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। লোকসংস্কৃতির নমুনা সংগ্রহ ও সম্পাদনায় একাডেমি বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ছয় দশকের পরিক্রমায় বাংলা একাডেমি আজ এক আলোক-বৃক্ষের নাম। বাংলা একাডেমিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এতটাই বিপুল যে আমাদের সীমিত সাধ্যে তা তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা সম্ভব নয় তবু আমরা বাঙালির এই প্রাণের প্রতিষ্ঠানকে জাতির মনন- আকাক্সক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তোলার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, অধ্যাপক আনোয়ারুল করীম, উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ুদ মান্নান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মোনায়েম সরকার, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, অধ্যাপক হাবিব আর রহমান, ড. ইসরাইল খান প্রমুখ।

সন্ধ্যা ৬টায় আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে স্মৃতিচারণ, সংবর্ধনা জ্ঞাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্মৃতিচারণে অংশ নেন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক, সচিব, পরিচালক ও উপপরিচালকবৃন্দ। প্রাক্তন গুণীজনদের একাডেমি পরিবারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। বাংলা একাডেমি জীবনের স্মৃতিচারণে অংশ নেন- একাডেমির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, একাডেমির প্রাক্তন সভাপতি ও মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, প্রাক্তন মহাপরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মনসুর মুসা, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ; প্রাক্তন পরিচালক ফরহাদ খান, আবদুল হান্নান ঠাকুর, জাকিউল হক, নুরুল ইসলাম, এনায়েত করীম এবং প্রাক্তন উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন, আবদুল মজিদ, মুর্শিদুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর