শিরোনাম
বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রস্তুত হচ্ছে ঢাকা সিটির ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল

গোলাম রাব্বানী

জানুয়ারিতে হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এ জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে গতকাল ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে-আসন্ন ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের লক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রিসাইডিং অফিসার,  সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের প্যানেল প্রস্তুত এবং অন্য কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জরুরি ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা সরবরাহের জন্য চিঠি দিতে বলা হয়ছে। এক্ষেত্রে বিতর্কিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  ইসির কর্মকর্তারা জানান, চলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত হতে পারে। আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন কমিশন এ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতে পারে। বৈঠকে ভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। 

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপার থাকবে না। ইভিএমের মাধ্যমে দুই সিটিতে  ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে বৈঠক করে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, ১৯, ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৪৫ দিন হাতে রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিলের সম্ভাব্য তারিখ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯ জানুয়ারি ভোট হলে তফসিল হবে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর ২৩ বা ২৬ জানুয়ারি ভোট হলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল; ৩০ জানুয়ারি ভোট হলে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণার চিন্তা রয়েছে কমিশনের। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোট করা হবে। এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন ভোট নিয়ে পূর্ণপ্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোও। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও সমান্তরালে প্রার্থী চূড়ান্তকরণের কাজ এগিয়ে রাখছে। ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টিও প্রার্থী বাছাই করছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী ঘোষণা করবে। জানা গেছে মেয়র পদে দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এখন অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। এদিকে নির্বাচন কমিশন জানুয়ারিতেই ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন করতে ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করছে। ভোটকেন্দ্রের তালিকাও প্রস্তুত রাখছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। ইসি পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, দুই সিটির ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ভোটার তালিকাও। আর ইসি সচিবালয় দুই সিটিতে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছেন, দুই সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এ জন্য প্রায় ১৫ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় মেশিন কমিশনের সংগ্রহে রয়েছে। এবারে সিটির ভোটে ইভিএম ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন দুই সিটির ২০ জন আইসিটির শিক্ষক। তাদের ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দেবে কমিশন। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর থেকে নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিও।

সর্বশেষ খবর