বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
আদালতে জঙ্গি রিগ্যান

পথিমধ্যে একজন আইএসের টুপি দেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘স্যার, ভিড়ের মধ্যে একজন ব্যক্তি টুপিটি দিয়েছেন, তাকে চিনি না। টুপিতে কালেমা শাহাদাত লেখা ছিল বলে নিয়েছি।’ রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান গতকাল আদালতে এ কথা বলেন। এর আগে আসামি রিগ্যানকে রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় হতাহতের ঘটনায় করা মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি রিগ্যান এ মামলারও আসামি। শুনানি চলার একপর্যায়ে গতকাল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রিগ্যানের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘আইএসের টুপি কোথায় পেয়েছিলেন?’ উত্তরে রিগ্যান বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে একজন টুপিটি দিয়েছেন।’ বিচারক জানতে চান, ‘কে দিয়েছে?’ রিগ্যান বলেন, ‘চিনি না।’ তখন বিচারক বলেন, ‘টুপিটি নিলেন কেন?’ রিগ্যান বলেন, ‘কালেমা শাহাদাত লেখা ছিল, ভালো লাগায় টুপিটি নিয়েছি।’ বিচারক বলেন, ‘আর কাউকে কি টুপি দিয়েছিল?’ তখন রিগ্যান বলেন, ‘না, আর কাউকে দেয়নি। প্রিজন ভ্যানে ওঠার পর রাজীব গান্ধী আমার টুপিটি নিয়ে পরেছে।’ রাজধানীর কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় আসামি ১০ জন। আসামির মধ্যে রিগ্যানসহ নয়জন কারাগারে আছেন। অপর আসামি পলাতক। বিচারক গতকাল পলাতক আসামি আজাদুল কবিরাজকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। এর আগে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ্ উদ্দিন কামরান (৩০), আবদুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আবদুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’-এর পঞ্চম তলায় পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে ৯ সন্দেহভাজন জঙ্গি মারা যায়। হাসান নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। পালিয়ে যান একজন। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর