বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

খুলনা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে নানা সমীকরণ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

প্রথমবারের মতো খুলনা মহানগরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ১০ ডিসেম্বর একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। পাশাপাশি শীর্ষ পদগুলোতে কারা আসছেন এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। জানা যায়, ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশীদকে সভাপতি ও এস এম মোস্তফা রশিদী সুজাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তবে জেলার শীর্ষ এই দুই নেতার মধ্যে দূরত্বের কারণে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলার রাজনীতিতে বিভক্তি তৈরি হয়। এর মধ্যে হারুনুর রশীদ ১৯৯২ সাল থেকে টানা চারবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর ২০১৮ সালে এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুর পর এবারের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব। আগ্রহীরা কেন্দ্রের আস্থা অর্জনে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের ভূমিকা, ছাত্ররাজনীতি, দলীয় নির্দেশনা পালন, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক- এসব প্রচারণা সামনে এনেছেন। একই সঙ্গে শক্তিশালী মহানগর কমিটি গঠন করতে শীর্ষ নেতাদের সাংগঠনিক কর্মকা  ও আমলনামা বিশ্লেষণে আনার দাবি জানিয়েছেন ত্যাগী কর্মীরা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, একসময় ব্যক্তি ধারার রাজনীতি থাকলেও এখন দলকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ জেলা আওয়ামী লীগ গড়ে তোলা হচ্ছে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে এবারের কমিটি করা হবে। তবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ও তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যার ওপর আস্থা রাখবেন তিনিই নেতা নির্বাচিত হবেন। কোনো হাইব্রিড, মাদকসেবী, চাঁদাবাজকে দলে জায়গা দেওয়া হবে না। জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খান আশরাফুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রনেতা অসিতবরণ বিশ্বাস। দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে একজন কর্মীবান্ধব, সৎ, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন নেতা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা। যিনি তৃণমূলে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সুসংগঠিত করতে পারবেন। এদিকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক জানান, নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই শেষ কথা। সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ওয়ার্ড, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাজ সাজ রব দেখা দিয়েছে। নেতা-কর্মীরা আগ্রহ নিয়ে সম্মেলনের অপেক্ষা করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর