শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে দরকষাকষি শুরু

নিজামুল হক বিপুল, মাদ্রিদ (স্পেন) থেকে

পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল। তখন এর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম অন লস অ্যান্ড ড্যামেজ’। এর লক্ষ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা হবে তাদের সংকট উত্তরণে সহায়তাদান। ২০১৬ সালে বিষয়টি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। গত ছয় বছরে রিভিউ-সংক্রান্ত কোনো স্থায়ী কাঠামো গড়েও ওঠেনি। বিষয়টির ওপর এবারের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইস্যুতে বাংলাদেশ বরাবরই এলডিসিভুক্ত অন্য দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করে আসছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য জানান, এবারের সম্মেলনে অনেক বিষয়ে রিভিউ হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইস্যু নিয়ে দরকষাকষি শুরু হয়ে গেছে। এর একটি হচ্ছে লস অ্যান্ড ড্যামেজ। অন্যটি প্যারিস চুক্তির আর্টিক্যাল ৬। এ দুটির মধ্যে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত লস অ্যান্ড ড্যামেজ ইস্যুতে। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলছেন, ২০১৩ সালে লস অ্যান্ড ড্যামেজ বিষয়ে রিভিউ অব ওয়ারশ মেকানিজম হয়েছিল। কিন্তু সেটি ছয় বছর ধরে অ্যাডহক ভিত্তিতে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত এ ইস্যুতে কাজ করার জন্য পূর্ণতা পায়নি অ্যাডহক কমিটি। ২০১৬ সালে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম রিভিউ করা হবে। তারও কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এরপর গত জুনে কপের বন সেশনে সিদ্ধান্ত হয়েছিল টার্মস অব রেফারেন্স কী হবে, স্থায়ী কাঠামো (পার্মান্যান্ট ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রাকচার দেওয়া যায় কিনা, অর্থ কোথা থেকে আসবে এবং মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট কো-অর্ডিনেশন ফ্যাসিলিটি ডেভেলপ করা। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য মো. শওকত আলী জানান, গ্রিন ক্লাইমেট তহবিল থেকে লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য স্থায়ী একটি ফান্ড চাচ্ছে এলডিসিভুক্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর