দরপতনে আরও তলানিতে নামছে দেশের শেয়ারবাজার। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি সূচকের বড় পতন হয়েছে। আগের দিনেও ব্যাপক দরপতনে শেষ হয় লেনদেন। দুই দিনে ডিএসইতে সূচক কমেছে ১৩৮ পয়েন্ট। ডিএসইতে লাগাতার বড় পতনের ফলে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগের অবস্থানে ফিরে গেছে প্রধান মূল্যসূচক। সূচকের সঙ্গে লেনদেন আবারও ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। বাজার লেনদেনে দেখা গেছে, সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে পুঁজিবাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার আভাস দেখা যায়। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর পরেই দেখা দেয় পতন প্রবণতা। লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে আধাঘণ্টার মধ্যেই ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ৩০ পয়েন্ট পড়ে যায়। হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ডিএসইর বাজার আপডেট। ১০টা ৫৬ মিনিট থেকে বেলা ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ডিএসই থেকে কোনো ধরনের বাজার আপডেট দেওয়া হয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে যখন ডিএসই বাজার আপডেট দেয় ততক্ষণে প্রধান সূচক ৬০ পয়েন্ট কমে যায়। পতনের এ প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৩টির। আর ৫৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। টানা এমন বড় পতনের কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ বছর ৩ মাস ৯ দিন বা ৩৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৫২৬ পয়েন্টে ছিল। প্রায় দেড় মাস পর ডিএসইর লেনদেন আবারও ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮২৮ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
