লোকসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, সোমবার ভারতের পার্লামেন্টে অমিত শাহ বক্তৃতাকালে বিএনপির নাম উল্লেখ করে কিছু কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, বিএনপি সরকারের আমলে এখানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুব  জোর গলায় বলতে পারি-বিএনপি সরকারের আমলে এখানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। তাদের ওপর নির্যাতন আওয়ামী  সরকারের আমলে যতটা হয়েছে আর কখনো তা হয়নি। ভারতের নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতে নতুন যে নাগরিকত্ব আইন করা হয়েছে  সেই আইনের খুব পরিষ্কার করে তারা বলছে, বাংলাদেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা ভারতবর্ষে যাচ্ছে এবং তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। পার্লামেন্টে (লোকসভা) যে আইন পাস করা হয়েছে সেই আইনের মধ্যে অমুসলিম যারা তাদের এক সময় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু মুসলিম যারা আছেন তাদের দেওয়া হবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিয়ানমার যারা এখানে রোহিঙ্গাদের ঠেলে পাঠিয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলা হচ্ছে। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, কিন্তু গণহত্যার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সোচ্চার হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্ব সংস্থায় অথবা আন্তর্জাতিক আদালতে কোনো কথা বলছে না। আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়া মামলা করেছে, সেখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক   সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।