বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

দফায় দফায় সংঘর্ষে শেকৃবি রণক্ষেত্র আহত ১৩

শেকৃবি প্রতিনিধি

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হন এবং সংবাদ সংগ্রহকালে একজন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল ভর্তির প্রথম দিনে বিভিন্ন আঞ্চলিক (বঙ্গীয়) গ্রুপে নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ দলে ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই বিভিন্ন বঙ্গীয় গ্রুপ (উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ঢাকা ও পাবনা-সিরাজগঞ্জ) তাদের নিজ নিজ দলভারী করার উদ্দেশে নবীন শিক্ষার্থীদের টানাহিঁচড়া শুরু করে। সকাল ১১টায় ভর্তি হতে আসা এক  নবীন শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা ও ঢাকা দুই গ্রুপ টানাহিঁচড়া শুরু করে। পরে ওয়াইফাইজোন চত্বরে হাতাহাতির একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় উভয়পক্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে উভয় গ্রুপের ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হন। বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামের পেছনে নবীনদের লাইনে আগে-পিছে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ গ্রুপ। এ সময় সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের শেকৃবি প্রতিনিধি ওলী আহম্মেদকে কেন ছবি ধারণ করা হচ্ছে বলে শাসান ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদ মাহমুদ পান্থ। এ সময় তার ইশারায় ১০-১২ জন তাকে ঘিরে ধরলে একপর্যায়ে ১৮ ব্যাচের আল-আমিন প্রধান বাপ্পি তেড়ে এসে তার মুঠোফোন কেড়ে নেয়। পরে দুপুর ১টায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের সামনে ইটপাটকেল, রড, জিআই পাইপ নিয়ে পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা ও কুমিল্লা গ্রুপ। এ সময় ১৯ ব্যাচের সৌমিক দাস প্রান্ত ও সারোয়ার গুরুতর আহতসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এদের দুজন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ও দুজন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়াও একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাইব্রেরি ভবন, শেরেবাংলা হল ও সিরাজউদ্দৌলা হলের সামনেও বিচ্ছিন্নভাবে আঞ্চলিক গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনাসহ সার্বিক ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

এ ঘটনায় শেকৃবি উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, আগে অনেককেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ে বঙ্গীয় প্রথা নিষিদ্ধের ব্যাপারেও কথা বলবেন বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর