রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তথ্য না দিয়ে তার পরিচয় যাচাই এবং রিট আবেদনকারীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে হাই কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন। গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে তারা হাজির হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাদেরকে সতর্ক করে ক্ষমা করে দেয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তপো গোপাল ঘোষ। ইউএনও এবং ওসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফয়েজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রহ্লাদ দেবনাথ। পরে তপো গোপাল ঘোষ জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুরের গজারিয়ার একটি সরকারি পুকুর ইজারা সর্বোচ্চ দরদাতা অপু আহমেদকে না দিয়ে তার চেয়ে কম দরদাতাকে দেওয়া হয়। পরে ওই ইজারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অপু আহমেদ হাই কোর্টে রিট করেন। আদালত এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে খোঁজখবর নিতে বলে। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা তথ্য চাইলে ইউএনও এ বিষয়ে অপারগতা জানান। উনি ওসি সাহেবকে বলেন আইন কর্মকর্তার আইডেনটিটি ঠিক আছে কিনা, তা যাচাই করার জন্য। মূল মামলার বাদী অপু আহমেদ কেন ঢাকায় অবস্থান করছেন সে বিষয়েও তারা ফোন করে ধমক দিচ্ছেন। পরে আদালত রিটের শুনানি নিয়ে ওই ইজারা কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়েছিল। একই সঙ্গে ইউএনও এবং ওসিকে হাই কোর্ট তলব করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, তলব আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হাজির হয়ে সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং ওসি আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
